সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ , ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাসপাতাল চালুর দাবিতে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ হাওরে চড়ক উৎসবে মানুষের ঢল ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, দ্রুত পাকা ধান কাটার আহ্বান বন্যার ঝুঁকিতে হাওরাঞ্চল তিন দপ্তরের ছুটি বাতিল গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৫১ হাজার, নিখোঁজ ১১০০০ ধর্মপাশায় দুই আসামি গ্রেফতার বিএনপি’র ঈদ পুনর্মিলনী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নববর্ষ উৎসব ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন মে মাসে এই সরকারকে ৫ বছর চাওয়ার কথা আমার নয়, জনগণের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছালো ১১৮ বার সুনামগঞ্জ শহরের শৃঙ্খলার জন্য অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা নববর্ষের প্রত্যাশা, বিজন সেন রায় বোরো ধান কাটার ধুম, হাওরে বৈশাখী হাসি আমাদের পহেলা বৈশাখ ছাতকসহ দেশের ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা বাতিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ

ঝটিকা মিছিলে পুলিশে উদ্বেগ

  • আপলোড সময় : ১২-০৪-২০২৫ ০৭:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৪-২০২৫ ০৭:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঝটিকা মিছিলে পুলিশে উদ্বেগ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন আত্মগোপনে। তাদের মধ্যে কেউ আছেন দেশের বাইরে, আবার কেউ আছেন দেশেই। প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে পলাতক নেতারা মোবাইলসহ বিভিন্নভবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এমনটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন এমন ভিডিও-অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। ফলে দলটির নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে বিক্ষোভ করছেন। আর এতেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে পুলিশে। এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে মিছিল করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা কোন কোন স্থানে মিছিল করতে পারে তার আগাম তথ্য সংগ্রহ করে ছদ্মবেশে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে গেলেও তারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। কঠোর নজরদারির মধ্যেও ঝটিকা মিছিল বের করছে তারা। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ আছে। তারা সংগঠিত হয়ে নাশকতা চালানোর পাঁয়তারা করছে। আর এজন্য থানাগুলোতে চিঠি দিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতাসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০৩টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে হত্যা মামলা হয়েছে ৫৯৯টি। এসব মামলায় দলটির শীর্ষ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সহিংসতায় এত মামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় দুই শতাধিক মামলা হয়েছিল। এদিকে কোটা সংস্কার নিয়ে সহিংসতা মামলার আসামিদের ধরতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে আসছে পুলিশ। অভিযানে নিরপরাধ লোকজন গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া অভিযানের নামে ‘ধরবে আর না হয় ছাড়বে’ বাণিজ্যের অভিযোগও আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিদের দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই মামলা হচ্ছে। যেসব মামলায় নিরপরাধ ব্যবসায়ী ও লোকজন আছেন তদন্ত করে তাদের মামলা থেকে মুক্ত করা হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠক ও কড়া বার্তা : পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়া পুলিশের বৈঠক থেকে কড়া বার্তা এসেছে। তাছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সবকটি ইউনিটপ্রধানদের সঙ্গে জুম মিটিং করেছেন। ইউনিটপ্রধানদের মাধ্যমে দেশের সবকটি থানায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে নানা দিকনির্দেশনা রয়েছে। সব থানায় পুলিশের চিঠি : পুলিশ সূত্র বলছে, গত দুদিন আগে দেশের সবকটি থানায় একটি চিঠি পাঠানো হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) উদ্দেশে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জরুরি বিশেষ বার্তা। উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংঠনের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ২০০-২৫০ জন তৃণমূল নেতাকর্মী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। নেতারা দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ফলে পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে সতর্ক থাকতে হবে।’ চিঠিতে আরও বলা হয়, রাস্তা বা এলাকায় সবার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের পর অবস্থান শনাক্ত করতে হবে। যানবাহন স্ট্যান্ডগুলোতে নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়তি নজরদারি বা চোখ রাখতে হবে মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কারের দিকে। ঢাকায় প্রবেশের মুখগুলোতে কড়াকড়িভাবে চেকপোস্ট স্থাপন করে সব ধরনের যানবাহন তল্লাশি করতে হবে। নৌঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্টেশনগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি ছদ্মবেশে পুলিশ সদস্যদের থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নিতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে আওয়ামী লীগের কোনো সদস্য যাতে ঢাকায় ঢুকতে না পারে, সেজন্য আলাদাভাবে মনিটরিং করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইট পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে গেলেও তারা আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। আর এজন্য থানাগুলোতে চিঠি দিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রতিটি ইউনিট এ ব্যাপারে সতর্ক আছে। তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া ছিল। তারা টেন্ডারবাণিজ্য, দুর্নীতি করাসহ এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করেনি। নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর তারা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কম যায়নি। তারাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। বিশেষ তালিকা পুলিশের হাতে : পুলিশসংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলের নেতাকর্মীরা চলে যায় আত্মগোপনে। সাবেক মন্ত্রী-এমপিরাও আছেন গোপনের তালিকায়। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছেন সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতারা। রিমান্ডে নিয়ে করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। এরই মধ্যে প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতারা পালিয়ে গেছেন দেশ ছেড়ে। অধিকাংশ নেতাকর্মী গেছে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে। আবার কোনো কোনো নেতা বিমানবন্দর দিয়েও চলে গেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী আছে কলকাতা, দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্যে। নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আলোচিত নেতা রয়েছেন। তাছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাও আছেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর ১ জুলাই থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এমনকি পুলিশও তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে। এ ঘটনার পর দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা। ১৬ জুলাই থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে প্রাণ হারায় হাজারের বেশি কোমলমতি শিক্ষার্থী, নিরীহ লোকজন। আবার দুর্বৃত্তদের হামলায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। তাদের হত্যা ও থানা-ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেশিরভাগ আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। আওয়ামী লীগের লোকজন বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রও ব্যবহার করেছে। তারাও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। পতিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, জেলা-উপজেলার নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তা আসামি হয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশ একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকাটি পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটিতে রাখা হয়েছে। যেসব আলোচিত নেতা দেশের বাইরে : গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। দেশত্যাগ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন নাসিম, শামীম ওসমান, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, দপ্তর স¤পাদক ও শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়–য়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, সাবেক সাধারণ স¤পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ স¤পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির (শয়ন), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী প্রমুখ। -দেশ রূপান্তর

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স